images

অর্থনীতি

চালের দাম বাড়ার কারণ ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার কথা জানালেন মন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৪ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫৩ পিএম

হঠাৎ করে বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রোববার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফিকালে চালের দাম নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রী।

চালের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, এখন দুটি মৌসুমের সন্ধিক্ষণ, বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষ আমন লাগানো নিয়ে ভয়-ভীতিতে আছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। পরিবহন খরচের হারের চেয়ে চালের দামটা বেশি বেড়েছে। সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছে। এটা পরিষ্কার কথা, আমাদের অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে সেটাও আমরা মনিটরিং করছি। অবৈধ মজুদের বিষয়ে আমাদের তো নিয়মিত মনিটরিং আছেই। সেটা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী দুই হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) করা হবে বলে। একই সঙ্গে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা আশাবাদী, কারণ সামনে আমন উঠবে। সেই আউশ ওঠার জন্য আমরা বসে থাকব না, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের বোরো সংগ্রহের শেষ সময়। আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবার বা চার কোটি মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছি।

মন্ত্রী বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুদ আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুদ করি। যারা এ চাল নেবে তাদের তো বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।’

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরের কর্মাভাবকালীন পাঁচ মাস (মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) পরিবার প্রতি ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। অন্যদিকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় যে কেউ ডিলারের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারেন।

এই কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওএমএসে এখন সিটিগুলোতে দুই হাজার ১৩ জন ডিলারের জন্য এক টন করে চালু আছে। সেখানে আমরা দ্বিগুণ করে দেব। অর্থাৎ ডিলাররা দুই টন করে চাল পাবে। ৩০ টাকা কেজিতে একজন পাঁচ কেজি চলে চাল পাবে। ওএমএসের চাল সবাই কিনতে পারবে।

ডব্লিউএইচ/জেবি