images

অর্থনীতি

বাংলাদেশকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার ১৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এডিবির এ অর্থ কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যয় হবে। মূলত কারিগরি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উন্নত করতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সম্প্রতি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ কর্মসূচি পাঁচটি মূল প্রযুক্তি খাতকে লক্ষ্য করে কাজ করবে।

এ খাতগুলো হলো যান্ত্রিক, ইলেকট্রনিকস ও বৈদ্যুতিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নাগরিক (সিভিল) এবং খাদ্য ও কৃষি।

জিয়ং আরও বলেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অগ্রাধিকারমূলক এজেন্ডাকে জোরালোভাবে সমর্থন করবে। এটি দারিদ্র্য ও সামাজিক বঞ্চনার মতো বিষয়গুলো মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং সরকারের সমন্বিত টিভিইটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যানের সঙ্গে সংগতি রেখে বৈশ্বিক বাজারে মানসম্মত কর্মসংস্থান ও প্রতিযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি করবে।

এডিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশজুড়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) শিক্ষকদের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে একটি নতুন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হলো ঢাকার বাইরের সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিক্ষকদের কাছে উন্নত প্রশিক্ষণ পৌঁছে দেওয়া। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষকদের শিক্ষাগত ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষ করে উদীয়মান প্রযুক্তির ওপর জোর দেয়া হবে। এর ফলে শিক্ষক উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেদনের ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।

সংস্থাটি জানায়, কর্মসূচিটি শেষ হওয়ার পর কমপক্ষে ১০ হাজার নতুন ও বিদ্যমান টিভিইটি শিক্ষক তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন, যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কর্মসূচি বাংলাদেশে টিভিইটির টেকসই মান ও প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী একটি ধারাবাহিক পেশাদার উন্নয়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

সদস্য দেশ ও অংশীজনের  সঙ্গে একযোগে জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করে এডিবি, যা উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, মানসম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং আমাদের গ্রহের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবির বর্তমান সদস্য ৬৯, যার মধ্যে ৫০টি দেশ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের।

এআর/এআর