নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫২ এএম
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে পেরেছি। এটি আমাদের পোশাক খাত এবং লাখো শ্রমিকের জন্য ভালো খবর। পাশাপাশি, আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশাল ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগও তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নতুন ২০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে। আগের ৩৫ শতাংশ প্রস্তাবিত হার থেকে এটি ১৫ শতাংশ কম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ড. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে মিল রেখেই পুরো আলোচনা পরিচালনা করেছি। আলোচনায় আমাদের পোশাক খাত রক্ষা ছিল মূল অগ্রাধিকার। তবে আমরা মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি রাজ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ট্রাম্পের আদেশে ৭০টি দেশের আমদানির ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে এসব চুক্তি শুধু শুল্ক হ্রাস বা বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে দেশীয় নীতিমালার সংস্কার, বাণিজ্য ভারসাম্য আনা, অশুল্ক বাধা দূর করা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। এমনকি অনেক দেশকেই মার্কিন পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন শুল্ক হার নির্ধারণে প্রতিটি দেশের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির গভীরতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্ক পেয়েছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী রফতানিকারক দেশ শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে প্রায় সমান। অন্যদিকে, ভারত পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারায় ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে।
এইউ