জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৩২ এএম
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন ড্রেসকোড চালু হয়েছে। নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ ও ওড়না বা অন্যান্য মার্জিত ও পেশাদার পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরার ওপর।
ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে ২১ জুলাই জারি করা এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরতে হবে। হিজাব পরলে তা হতে হবে সাদামাটা রঙের। তবে কাউকে হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়নি। পুরুষ কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্যও নির্ধারিত পোশাকের তালিকা দেওয়া হয়েছে—লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল শার্ট, ফরমাল প্যান্ট ও জুতা। নিষেধ করা হয়েছে জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরা থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সবার মধ্যে সাম্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেই এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ অশালীন পোশাক পরতেন না বলেও জানান তিনি।
তবে কেন এমন নির্দেশনার প্রয়োজন হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, `এখন ব্যাংকে অনেক তরুণ কর্মী যোগ দিচ্ছেন, যাদের অনেকেই সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেক সময় ক্যাম্পাসের মতো আচরণের প্রবণতা দেখা যায়। এসব বিবেচনায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।‘
এই নির্দেশনা কেবল অফিসের জন্য প্রযোজ্য। ব্যক্তিগত পরিসরে কে কী পোশাক পরবেন, তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলেও তিনি জানান।
ড্রেসকোড সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের একটি মাসিক সভার কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘সি’ ও ‘ডি’ শ্রেণিভুক্ত কর্মচারীদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম ছাড়া সবাইকে সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী শালীন ও পেশাদার পোশাক পরতে হবে। সভায় আরও বলা হয়, নারী কর্মীদের পোশাক হতে হবে সাদামাটা ও পেশাদার রঙের। ছোট হাতা ও দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নারী কর্মীদের প্রতি আচরণে ২০০৩ সালের ‘বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন’-এর ৩৯ ধারা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যৌন হয়রানির অভিযোগ পেলে তা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত কমিটির কাছে পাঠাতে হবে বলেও নির্দেশনা রয়েছে।
টিএই/জেবি