নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
ফের বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষজাত খাদ্যপণ্য—ডিম, মুরগি ও মাছের দাম। খুচরা বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চাপে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম কম থাকলেও এবার বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব আমিষের দাম।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মুরগির ক্ষেত্রেও প্রায় প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি এখন ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ছিল। আর দেশি মুরগির দাম ছুঁয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম দোকানদাররা ২৯০ টাকা কেজি চাচ্ছে।
এদিকে বাজারে রুই মাছের কেজি এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। দেশি কাতলা ও বোয়াল মাছের দাম তো আরও বেশি— ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০-২২০০ টাকায়। আকারভেদে পাবদা ৪০০-৫০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০-২৫০, শিং ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, মলা ৩০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহে ঘাটতি ও বৃষ্টি-জনিত পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিই এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তারা দাবি করছেন, উৎপাদন ও আমদানির ব্যয় বাড়ায় পাইকারি বাজার থেকেই দাম বেশি, ফলে খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব পড়েছে।
>> আরও পড়তে পারেন
অন্যদিকে ভোক্তারা বলছেন, বর্ষার মৌসুমে শাকসবজি ও ফলমূলের দামও বাড়ছে, তার সঙ্গে এখন ডিম, মাছ ও মুরগির দাম বৃদ্ধিতে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে উঠছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা দরকার। অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে অভিযান চালাতে হবে।
এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৪৫ টাকায় কিনেছি, আজকে হঠাৎ ১৬০ টাকা চাচ্ছে। এভাবে দাম বাড়লে তো আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা আমিষের অভাবে পড়বো।
এমআর/এএস