জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৯ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার সম্ভাবনাময় খাতে বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা।
বুধবার (১৯ জুন) কলম্বোয় শ্রীলংকার ওই দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে সফররত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদল।
সাক্ষাতে শ্রীলংকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র বলেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের সম্পর্ক আরও গভীর হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের পর এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে শ্রীলংকা বিশ্লেষণ করছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলংকার সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাই।
এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় হলেও প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে শ্রীলংকা অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাই যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা শ্রীলংকায় বিনিয়োগে আগ্রহী হবে এবং শ্রীলংকার ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার অর্থনীতি অনেকটাই একই ধরনের। তাই ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি’ (পিটিএ) নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ (এফটিএ) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে বাস্তবিকভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে শ্রীলংকার উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি, ডিজিটাল সেবা, ওষুধ, চা, জ্বালানি, আর্থিক খাত ও পর্যটনে যৌথ বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীলংকা একটি উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় শ্রীলংকা সরকার, যার অংশ হিসেবে আধুনিক ডেটা সেন্টার স্থাপনে বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই খাতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলংকার ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।
এসময় ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন।
টিএই/এফএ