নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ জুন ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরে তৈরি পোশাক খাতের আমদানিকৃত মালামালের স্টোরেজ সময়সীমার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চারগুন স্টোর রেন্ট আরোপ থেকে কেবলমাত্র তৈরি পোশাক খাতের আমদানিকারকদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
বুধবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরে স্টোরেজ সময়সীমা অতিক্রান্ত হলে অন্যান্য খাতে চারগুণ হারে স্টোর রেন্ট আরোপ করা হলেও তৈরি পোশাক খাতের আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা ও সড়ক অবকাঠামো এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যানজট ও পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রায় সব খাতের আমদানিকারকরা সমস্যার সম্মুখীন হন। এর সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে শুধু একটি খাতকে বিশেষ সুবিধা দিলে তা বৈষম্য তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, এই একক সুবিধা অন্যান্য খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
রফতানি বাণিজ্যের প্রসারে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে ডিসিসিআই সরকারকে অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি চট্টগ্রাম বন্দরে স্টোর রেন্ট হ্রাসের পাশাপাশি সব শিল্পখাতের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
এছাড়াও ঈদুল আজহা ও অন্যান্য উৎসবে দীর্ঘমেয়াদে সাধারণ ছুটির সময়কালে সকল বন্দরের পণ্য আমদানি-রফতানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। অন্যথায়, এ সময়কালে বিশেষকরে আমাদানি পণ্যের খালাস প্রক্রিয়া বিলম্বের মাশুল যেন আমদানিকারকের বহন করতে না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
এমআর/এফএ