নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ জুন ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
রাজধানীর সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট হলো গাবতলী। আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে আট হাজারের বেশি পশু হাটে এসেছে। হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও সেভাবে ক্রেতা নেই। তাই গরুর দেখাশোনা করে অলস সময় পার করছেন বেপারীরা। তবে বৃষ্টির কারণে ক্রেতারা সেভাবে আসতে পারছে না বলে জানান হাট কর্তৃপক্ষ।
বেপারীরা জানান, এমনিতেই ঢাকার হাটে এত আগে গরু বিক্রি হয় না। ঈদের ২-৩ দিন আগে মূলত হাটে পশু বিক্রি জমজমাট হয়। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বহু ক্রেতা পশু দেখার জন্যও আসতে পারছেন না।
সোমবার (০২ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাক, পিকআপ ভরে আসছে কোরবানির পশু। সড়কে যেমন তৎপর ট্রাফিক পুলিশ, তেমনি হাটেও তৎপর ভলান্টিয়াররা। সড়কে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোরবানির পশুবাহী কোনো যানবাহন। এছাড়া হাসিলঘরে পর্যাপ্ত লোকজন দেখা গেছে।
হাটের একটা বড় অংশ এখানো ফাঁকা রয়েছে। সেসব জায়গায় বালি ও বাশ দিয়ে গরু রাখার জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
হাট ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট বেপারীরা
গাবতলী হাট ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বেপরারীরা। বৃষ্টি থেকে রক্ষায় পর্যাপ্ত ত্রিপল ও বালি দেওয়া হয়েছে যাতে গরুর কোনো অসুবিধা না হয়।
রাজবাড়ী থেকে গরু নিয়ে এসেছেন মো. আসলাম। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, গতকাল রাত ২টার দিকে গরু নিয়ে হাটে এসে পৌঁছেছি। ভালো জায়গা পাওয়ার আশায় আগেভাগেই চলে এসেছি। একটি ট্রাকে ১৪টি গরু নিয়ে এসেছি। আগেভাগে বিক্রি করে গ্রামে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
তিনি আরও বলেন, এখানো সেভাবে ক্রেতারা আসছে না। যারা আসছেন তারাও দেখে, দাম শুনে চলে যাচ্ছেন।
আরিফুর রহমান নামের একজন খামাড়ি বলেন, এক দিন আগে ১০টা গরু নিয়ে এসেছি। আজ রাতে আরও ১০টা গরু আসবে। সব নিজের খামারে লালনপালন করা। তাই আশানুরূপ দাম না পেলে বিক্রি করব না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার মানুষ মূলত গরু কেনেন দু-তিন দিন আগে। সে হিসেবে হাট জমতে আরও সময় লাগবে। তবে কিছু ক্রেতারা দেখার জন্য আসছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেও ভালো লাগছে।
আব্দুল হামিদ নামের একজন সরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে দেখা হয় হাটে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছর গাবতলী হাট থেকে গরু কিনি। তাই এবার একটু আগে হাটে এসেছি গরু দেখা এবং দাম জানার জন্য। ভালোই গরু এসেছে। আশা করি ঈদের ২-১ দিন আগে ভালো একটা গরু কিনতে পারব।
ইজারাদারের পক্ষ থেকে মিডিয়া প্রতিনিধি ইয়াহিয়া সামি বলেন, আমরা পশু নিয়ে আসা মানুষদের সর্বোচ্চ সেবার জন্য কাজ করছি। গরুসহ তাদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের অনেক স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে ক্রেতারা যেমন আসতে পারছে না তেমনি রাস্তায় আরও অনেক গরুর গাড়ি আটকে রয়েছে। আশা করি ২-১ দিন পর হাট ভালোভাবে জমে উঠবে।
এএসএল/ইএ