নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ মে ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
নামমাত্র মূল্যের জমি বন্ধক রেখে ১০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে সেই অর্থ দিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট কেনেন। এসব অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৭ মে) দুদকের একটি বিশেষ এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে অভিযান চালিয়ে এসব তথ্য পায়। অভিযানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা জালিয়াতির মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, অসাধু কিছু ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে জমির মূল্য অনেক কম দেখিয়ে বড় অঙ্কের ঋণ গ্রহণ, বিদেশে অর্থ পাচার এবং সম্পদ গোপনের অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানে ওই কর্মকর্তার এবং তার বোনের নামে বসুন্ধরায় দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব ফ্ল্যাট অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থে কেনা হয়েছে।
এছাড়া অভিযানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখায় ওই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের নামে একটি খারাপ ঋণের তথ্যও পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির নাম এমআর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
ঋণের বর্তমান স্থিতি ১০ কোটি টাকার বেশি। দুদকের টিম প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখেছে, এই ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে।
অভিযানের সময় ঋণ-সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়েছে। দুদক বলেছে, টিমের জমা দেওয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। দুদক বলেছে, এ ধরনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই/এইউ