images

অর্থনীতি

সরকার চাইলে মালিকানায় নিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১১ মে ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

সরকার চাইলেই যেকোনো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে। এজন্য এক বা একাধিক শেয়ার হস্তান্তরের আদেশ জারি করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি মালিকানাধীন কোনো কোম্পানি কেবল এই শেয়ার গ্রহণ করতে পারবে। এমন বিধান রেখে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর গেজেট প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

জারি করা অধ্যাদেশে বলা হয়, কোনো ব্যাংকের মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এটির সম্পদ বা তহবিল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে এবং প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করলে ওই ব্যাংককে রেজল্যুশন করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এছাড়া সুনির্দিষ্ট কারণে দুর্বল ব্যাংকে অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগের পাশাপাশি ওই ব্যাংকের বিদ্যমান শেয়ারধারী বা নতুন শেয়ারধারীর মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের শেয়ার, সম্পদ ও দায় তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তরের সুযোগও দেওয়া হয়েছে এই অধ্যাদেশে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করবে। আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত কাউকে অবসায়ক নিয়োগ দেবে। অবসায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যাংকের দায়ের ওপর সুদ বা অন্য কোনো মাশুল কার্যকর হবে না।

আবার কোনো ব্যাংক নিজে থেকেও অবসায়নের প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। লাইসেন্স প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমানত ও দুই মাসের মধ্যে অন্যান্য দায় পরিশোধ করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তির কর্ম, নিষ্ক্রিয়তা ও সিদ্ধান্তের কারণে যদি কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হয় এবং ব্যাংকের ক্ষতি হয়, সেজন্য তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। অধ্যাদেশের আওতায় জারি হওয়া বিধিবিধান অমান্যকারীদের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। বিধান অমান্য করা হলে প্রতিদিনের বিলম্বের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে বাড়তি জরিমানা গুনতে হবে।

টিএই/এফএ