images

অর্থনীতি

আরও কমেছে বিদেশি ঋণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ এএম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করেছে বৈদেশিক ঋণ। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৩৬৪ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। তিন মাস আগে সেপ্টেম্বর শেষে যা ছিল ১০৪ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৪৩৭ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্য বলছে, তিন মাসে বিদেশি ঋণ কমেছে প্রায় ৭৪ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতে কমেছে ৫২ কোটি ডলারের বেশি। সরকারি খাতে কমেছে সাড়ে ২১ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ধারাবাহিকভাবে বেড়ে গত বছরের জুনে ২ হাজার ৬০ কোটি ডলারে উঠেছিল। সেখান থেকে কমে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ডলারে নামে। আরও কমে ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪২ কোটি ডলার। আর সরকারি খাতে গত সেপ্টেম্বরে বিদেশি ঋণ ছিল ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে তা ৮ হাজার ৪২১ কোটি ডলারে নেমেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি ও বেসরকারি খাতের ঋণের বকেয়া পরিশোধ বেড়েছে। অন্যদিকে ডলারের দর ও সুদহার বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ আগের ঋণের মেয়াদ না বাড়িয়ে পরিশোধে অধিকতর মনোযোগী হয়েছে। রেমিট্যান্স চাঙ্গা থাকার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধিও ঋণ পরিশোধে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এখন রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি না করে বরং কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে রিজার্ভ বাড়ছে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী এখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পাচার কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স ব্যাপক বাড়ছে। যে কারণে রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি না করেও বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগের সব দায় পরিশোধ করা হচ্ছে। এতে করে একদিকে আগের দায় কমছে, আরেকদিকে রিজার্ভ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উঠেছিল রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ওই বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে যেখানে বিদেশি ঋণ ছিল ৮ হাজার ৪৭৪ কোটি ডলার। কিন্তু পরের বছরগুলোতে রিজার্ভ কমতে থাকে এবং বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকে। তবে এখন রিজার্ভ আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।

টিএই/এমএইচটি