images

অর্থনীতি

বাজেট প্রস্তাবে ধূমপায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৯ জুন ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো ও রাজস্ব আয় বাড়াতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য বিড়ি ও জর্দার দাম অপরিবর্তিত থাকছে। তাই সিগারেট কিনতে এখন থেকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে ধূমপায়ীদের।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে সিগারেট কিনতে ধূমপায়ীদের এখন আগের চেয়ে বেশি খরচ করতে হবে।

যদিও বেশ কিছুদিন আগে বাজারে সংকটের কথা বলে সিগারেটের বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। প্রতি সিগারেট কমপক্ষে এক টাকা করে বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ধূমপায়ীদের।

বাজেটের প্রস্তাব অনুযায়ী, চার ধরনের সিগারেটের মধ্যে অতি উচ্চস্তরের সবচেয়ে দামি সিগারেটের দাম বাড়বে সবচেয়ে বেশি। অতি উচ্চস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের দাম ১৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিম্নমানের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। তবে সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশই থাকছে।

মাঝারি মানের ১০ কাঠি সিগারেটের দাম ৬৩ টাকা থেকে ৬৫ টাকা করা হয়েছে। উঁচুমানের ১০ কাঠির দাম ১০২ টাকা থেকে ১১১ টাকা এবং সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের ১০ কাঠি সিগারেটের দাম ১৪২ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই তিন ধরনের সিগারেটের সম্পূরক মূল্য ৬৫ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকছে। তবে বিড়ি ও জর্দার দাম পূর্ববর্তী বছরের মতোই অপরিবর্তিত থাকছে।

বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, 'পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির পঁচিশ শলাকার দাম ১৮ টাকা, বারো শলাকার দাম ৯ টাকা ও আট শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির বিশ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও দশ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।'

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, 'পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় প্রতি দশ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি দশ গ্রামগুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।'

বিইউ/এমআর