images

অর্থনীতি

সিরিয়ায় ৭০ বছরের মধ্যে ব্যাংকে প্রথম নারী গভর্নর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম

সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে মাইসা সাবরিন নামে এক নারীকে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির অর্ন্তবর্তী সরকার। ২০২১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাশার আসাদের নিযুক্ত গভর্নর মোহাম্মদ ইসাম হাজিমের স্থলাভিষিক্ত হলেন মাইসা সাবরিন। দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ নিয়োগের কথা জানিয়েছেন।খবর আবর নিউজের।

মাইসা এই ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। দেশটিতে ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। ব্যাংকিং খাতে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে মাইসার। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দীর্ঘদিনের কর্মী। বিশেষ করে দেশটির ব্যাংকিং খাতের তদারকির কাজটি করে আসছিলেন মাইসা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দামেস্ক ইউনিভার্সিটি থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন মাইসা। তিনি ২০১৮ সাল থেকে দামেস্ক সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদে সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং এর অফিস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিরিয়ার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত। বিদ্রোহীরা ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিকে উদারনৈতিক করার পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমদানি-রপ্তানির জন্য আগাম অনুমোদন এবং বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া। এরপরও সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।

সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী হলেন মাইসা। চলতি মাসের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নারীবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আয়শা আল-দিবসকে নিয়োগ দেয়া হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটি দেশের সম্পদের স্টক নিয়েছে এবং লুটপাটের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র দেখেছে। আসাদের সময় সিরিয়া থেকে অর্থ চুরি হলেও ব্যাংকের মূল ভল্টগুলো রক্ষিত রয়েছে। দেশটির ব্যাংকের ভল্টে প্রায় ২৬ টন সোনা রয়েছে। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের শুরুতে একই পরিমাণ সোনা ছিল বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যুদ্ধের আগে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারে হ্রাস পেয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

এমএমএস