নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে এখন কেনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আমরা টাকা ছাপাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু দেওয়া হয়নি এবং হবে না।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত সপ্তাহে সার কেনার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। আমরা জানি, ব্যাংকগুলো লিকুইড মানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করবে। আমরা সেটার বিপরীতে ৫ হাজার কোটি টাকার ইকুইভ্যালেন্ট বন্ড ইস্যু করে টাকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাক্রো স্টেবেলিটি। এটা না হলে মূল্যস্ফীতি নিযন্ত্রণে আসবে না। আমাকে এই ফাইট করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেক্সিমকো সচল রাখতেই প্রশাসক দেওয়া হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, বেক্সিমকোকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকমাস ধরেই বেক্সিমকোর বেতন-ভাতা সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবাবে চলতে পারে না। কোম্পানিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্সিম ব্যাংককে গত মাসে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে যেন শ্রমিক অসন্তোষ না হয়। অধৈর্য হয়ে লাভ নেই।
বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় চার শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম