জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৪ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
আলোচিত রাজধানীর গরুর গোশতের বিক্রেতা খলিল মাঝে কেজিতে দাম ১০০ টাকা বৃদ্ধি করেছিলেন। ফলে গত কয়েকদিন তার দোকান থেকে ৬৯৫ টাকা কেজিতে গোশত কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। কিন্তু দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পূর্ব ঘোষণার কথা স্মরণ করে আবারও ৫৯৫ টাকায় গোশত বিক্রির কথা জানালেন এই ব্যবসায়ী।
রোববার (২৪ মার্চ) অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল।
উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল বলেছেন, লাভ-লোকসান বুঝি না ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করবো। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখব। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত।
মাংস বিক্রেতা খলিল বলেন, আমি ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করে আসছিলাম। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমি ১০০ টাকা বাড়িয়েছিলাম। আমার লোকসানের অবস্থা হয়েছিল। আমার স্টাফদের নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছিল এ কারণে দর বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, যেহেতু আমি কথা দিয়েছিলাম তাই আবারও বলছি ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে ২০ রমজান পর্যন্ত। প্রতিদিন ২০টি গরু জবাই করা হবে। আমার দোকান চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
>> আরও পড়তে পারেন
‘চাঁদাবাজি বন্ধ হলে গরুর মাংস ৫০০ টাকার নিচে বিক্রি সম্ভব’
একই অনুষ্ঠানে অন্যদের চেয়ে দাম কমিয়ে আলোচনায় থাকা রাজধানীর আরও দুই গোশত বিক্রেতা উজ্জ্বল এবং নয়নও কথা বলেন। তারা দুজন অবশ্য কেজিতে সামান্য দাম বাড়ানোর কথা জানিয়ে যতদিন সম্ভব বাজারের অন্যদের চেয়ে কম দামে গোশত বিক্রির কথা জানান।
মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, আমি সেবামূলক কাজ করেছি। ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করেছি আমার সাধ্য অনুযায়ী। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছি। আমি সেবা করছি আবার নিজেও লাভ করছি। লোকসান করে বিক্রি করব না তাই ৬৩৫ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছি। যতদিন পারব আমি এ দামে সেবা দিয়ে যাব।
>> আরও পড়তে পারেন
গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছেন আলোচিত খলিল
আর পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, আমি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করেছিলাম। এখন বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করব। আর ঝুলানো মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করব। এতদিনে মিক্সড মাংস ছিল ৫৭০ টাকা আর ঝুলিয়ে রাখা মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।
এসময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামানসহ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিইউ/এএস