images

অর্থনীতি

‘এখন মানুষ চড়া দামেই অভ্যস্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৫ এএম

করোনাকালে অনেক মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এসেছিলো। মিনিকেটের ক্রেতারা নেমে এসেছিলেন পাইজাম কিংবা আটাশে। তবে এখন দাম বেশি হলেও মানুষ চড়া দামেই অভ্যস্ত হয়েছেন চালের বাজারে। 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হাজী জয়নাল আবেদিন বাজারে এমনটাই জানালেন রিকশাচালক সিদ্দিক মিয়া।

চালের বাজারে গিয়ে ১০ কেজি আটাশ চাল কিনলেন তিনি। গুনতে হয়েছে ৫৩০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চালের দাম ৫৩ টাকা। 

আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কতটা সমন্বয় হচ্ছে জানতে চাইলে সিদ্দিক মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, কি করুম, খাওয়া তো লাগবো। বেশি মোটা চাউল তো খাওয়া যায় না। আটাইশ মোটা হইলেও খাওয়া যায়।

আরও পড়ুন

চালের চেয়ে আলুর দাম বেশি, নেপথ্যে কী?

তিনি আরও বলেন, অনেক কিছু সহ্য হইয়া গেছে। দাম বাড়লেও খাওয়া লাগবে। কমে তো না।

আয় কম। সাধ্য কম। তবুও পরিবারের কথা মাথায় রেখে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারছেন না ভ্যানগাড়ি চালক মো. রফিক। 

ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শোরুমের ফ্রিজের ট্রিপ মারি। কোনোদিন কাজ বেশি থাকে, কোনোদিন কম থাকে। আমগো তো মাস গেলে বেতন নাই। দিনের টাকা দিনেই পাই। আজকে কাজ কম হইলে যে কম দামের চাউল নিমু তাও পারি না।

রফিক বলেন, পোলাপান মোটা চাউল খাইতে পারে না। আটাশ কিনি। এক কেজি চাইলের দাম ৫২/৫৫ টাকা। দিনে দুই কেজি চাউল লাগে। বাকী জিনিসও তো লাগে!

ঢাকা উদ্যানের বাজারটির চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক কেজি চালের এখন সর্বনিম্ন দাম ৪৫ টাকা। সেটিও দোকানে অনেকদিন পরে থাকা চাল। একেবারে নিম্নআয়ের মানুষ ছাড়া এই চাল কেউ নেয় না। এর চাইতে এক ধাপ উপরে উঠলে বাজারের সর্বনিম্ন দামের চাল স্বর্ণা। কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। 

আরও পড়ুন

বছরজুড়ে ডলার সংকট, শেষে কিছুটা স্বস্তি

সম্প্রতি বাজারে নতুন চাল আসায় দাম কিছুটা কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ৭০ এর ঘর থেকে নেমে মিনিকেট এখন ৬০ থেকে ৬৮ টাকা। মাঝারি আকারের চালের মধ্যে আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে। পাইজাম চালের কেজি ৫৩ টাকা। 

চিকন চালের মধ্যে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। খোলা পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। 

বাজারের চাল ব্যবসায়ী তৌফিকুল ইসলাম বাধন ঢাকা মেইলকে বলেন, এখন নতুন চাল উঠছে। চালের দাম কিছুটা কম। এই অবস্থা কিছুদিন থাকতে পারে।

দামের কারণে মিনিকেটের ক্রেতা পাইজাম কিংবা আটাশে নেমেছেন, এমন কোনো ঘটনা চোখে পড়ে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এই চাল ব্যবসায়ী বলেন, এটা করোনার সময় হতো। মানুষ অনেক বেশি সমস্যায় ছিলো। ইনকাম ছিলো না। এখন খরচ আছে। ইনকামও আছে। মানুষ এখন চড়া দামেই অভ্যস্ত।

কারই/এমএইচএম