images

অর্থনীতি

আটা-চালে অস্থিরতা, ‘ছিনিমিনি’ চলছে চিনির দামে 

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম

মাংস ও শাক-সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও অস্থিরতা রয়েছে আটা-চালের বাজারে। আবার দীর্ঘদিনের ‘ছিনিমিনি’ আছে চিনির দামে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা আটা হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আর প্যাকেট আটার বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক মাস আগে কেজিতে আরও ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে কৃষকরা নতুন ধান ঘরে তুললেও সুখবর নেই চালের বাজারে। খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম আগের মতেই ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একটু চিকন চাল মিনিকেট নামে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭৫ টাকা। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল। মহল্লার মুদি দোকানগুলোতে কেজিতে ২-৩ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব চাল।

 

আরও পড়ুন

 

এদিকে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম তো দূরের কথা চড়া দাম দিয়েও মিলছে না চিনি। খোলা চিনির জন্য ১৩০ আর প্যাকেটজাত প্রতি কেজির জন্য সরকার নির্ধারিত দাম ১৩৫ টাকা। কিন্তু রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। প্যাকেটজাত লাল চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। কোথাও মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। 

উত্তর মুগদার মুদি দোকানি মিঠু বলেন, অনেক দিন ধরেই দোকানে চিনি রাখি না। দাম এখন বেশি, লাভ কম। কাস্টমারের সাথে শুধু ঝামেলা হয়। তাই চিনি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।

চিনির দাম নিয়ে দুই দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আপাতত চিনির দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ চিনি আমদানি কর কমাতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া দেশি চিনির উৎপাদন নেই এবং ভারতীয় চিনি আমদানিও বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে প্রায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ-রসুন। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। আমদানী করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা। এছাড়াও পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০-২১০ টাকা। নতুন আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি।

টিএই/এইউ