images

সারাদেশ

নতুন মেয়রের বাড়িতে নেতাকর্মীদের ঢল

জেলা প্রতিনিধি

২৬ মে ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন মেয়র হিসেবে বিজয়ের হাসি হেসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। নানামুখী চাপ সত্ত্বেও ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম নারী মেয়র হিসেবে গাজীপুর সিটির হাল ধরতে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল ভোটের ফলাফল পাওয়ার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। ঘড়ি শ্লোগানে আনন্দে আত্মহারা যেন প্রত্যেক নেতাকর্মী। ভোরের আলো ফোটার পরেই জায়েদা খাতুনের নিজ বাড়ি ছয়দানা এলাকায় মানুষের ঢল নামে। 

খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন তার বাসভবনে। এসময় অনেকের হাতে ছিল ফুলের মালা, অনেকেই নিয়ে আসেন মিষ্টি। উপস্থিত নেতাকর্মীরা মিষ্টি মুখ করে তাদের বিজয় উদযাপন করেন। স্থানীয়রা বলছেন, ছেলের হাত থেকে নগরীর চাবি নিলেন মা জায়েদা।

এর আগে, শুক্রবার (২৬ মে) ভোরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। তিনি বলেন, গাজীপুরবাসীর সবাইকে শুভেচ্ছা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভোটটা আমার সুষ্ঠু হয়েছে। আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এসময় তার পাশে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জায়েদা খাতুন বলেন, এই বিজয় আমি গাজীপুরবাসীকে দেব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও দেব। গাজীপুরবাসীর ঋণ আমি শোধ করার চেষ্টা করব। সাংবাদিকরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাই আপনাদের ঋণও আমি শোধ করব। আপনারা যখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তখন আমার সাথে বা আশেপাশে কেউ ছিল না। আমি গাজীপুরের কাজ করেই ঋণ শোধ করব। কাজটা যেহেতু আমি একা করতে পারব না। তাই আমার ছেলেকে নিয়ে করব, যে আগে থেকেই আমার পাশে ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজমত উল্লাহ খানকে জিজ্ঞেস করে ও মতামত নিয়েই কাজ করব। একজনের জায়গা দিয়ে রাস্তা যাবে, একজনের জায়গা দিয়ে ড্রেন যাবে কিন্তু দিতে চাইবে না। তাই সবাইকে সাথে নিয়েই কাজ করব। আমার ছেলে বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার দুঃখেই, মিথ্যার প্রতিবাদে আমার ভোটে আসা। গাজীপুরের মানুষকে এতো ভালোবাসছি। এবার দেখি তারা আমারে কেমন ভালোবাসে? এই ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্যই ভোটে আসা। আমি গাজীপুরবাসীর ভালোবাসা পেয়েছি।

এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন আমি মেয়র নই কিন্তু আমার মা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসাবে এই শহরের যতো কাজ আছে আমি মায়ের সঙ্গে থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কাজগুলো করব। আজমত উল্লাহ খান আমার বড় ভাই। তার পরামর্শ এবং এখানে বড় যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন সবার সঙ্গে আলোচনা করে, পরামর্শ নিয়ে আধুনিক শহর গড়ে তোলার চেষ্টা করব। এই শহরবাসী আমাদের বিশ্বাস করেছে। বড় মানুষরা ছিল না, কিন্তু এই শহরের খেটে খাওয়া মানুষ আমাদের পাশে থেকে মাকে, আমাকে সহযোগিতা করেছে। তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।

প্রতিনিধি/এমএইচটি