খলিলুর রহমান, বোরহান উদ্দিন
১৫ মে ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাতে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও ঘরবাড়ি পুরো, আবার কোথাও আংশিক ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ গাছ। সেই সঙ্গে তীব্র ঝড়ের কারণে ভেঙে গেছে বিদ্যুতের পিলারও। কোথাও আবার মূল লাইনের তাঁর ছিঁড়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো টেকনাফ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর থেকে সোমবার (১৫ মে) পর্যন্ত অনেকটা বিদ্যুৎহীন থাকলেও ধীরে ধীরে সংযোগ ফিরে পেতে শুরু করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। তবে পুরো টেকনাফে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হতে আরও একদিন অপেক্ষা করতে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টেকনাফ জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) আব্দুল আউয়াল রানা ঢাকা মেইলকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
টেকনাফ জোনাল অফিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করছি। কারণ, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও খাম্বা (বৈদ্যুতিক পিলার) ভেঙে গেছে, কোথাও আবার তার ছিঁড়ে গেছে। তাই সব জায়গার সমস্যার মেরামতে কিছুটা সময় লাগছে।
পুরো টেকনাফে বিদ্যুৎ সচল করতে কেমন সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে শতভাগ বিদ্যুতের জন্য কালকে (মঙ্গলবার) পুরোদিন অপেক্ষা করতেই হবে।
এদিকে, সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে- টেকনাফের বেশিরভাগ এলাকা ছাড়াও সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো অচল। তবে টেকনাফ উপজেলা সদরের কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ আছে। যদিও শহরের মধ্যেও কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। এ জন্য স্থানীয়দের ভরসা জেনারেটর, সৌরবিদ্যুৎ কিংবা মোমবাতি।
এ বিষয়ে শাহপরীর দ্বীপের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘জানি না কয়দিন বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হবে। কালকে (সোমবার) বলা হয়েছে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। সত্যি এমন হলে হাহাকার শুরু হবে।’
দ্বীপের এই ব্যবসায়ী জানান, শাহ পরীর দ্বীপের চারটা ওয়ার্ডে কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। এখানে জেনারেটর সার্ভিসও নেই। সৌরবিদ্যুতই একমাত্র ভরসা।
অন্যদিকে, টেকনাফ কলেজের পাশের মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘অনেকের ব্যবসা বিদ্যুৎনির্ভর। তাদের জন্য অনেক বেশি সমস্যা হয়েছে।’
বিইউ/কেআর/আইএইচ