জেলা প্রতিনিধি
১৪ মে ২০২৩, ০৩:৩৬ এএম
উপকূলীয় জেলা ভোলায় শুরু হয়েছে মোখার প্রভাব। শনিবার (১৩ মে) দিনগত রাত ১টার পর থেকে জেলায় শুরু হয়েছে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি।
বৃদ্ধি পেয়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে। উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার তীরে।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জেলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে মোখা ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে রুপ নিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বের সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) দুপুরের পর উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা থাকলেও ঝড়টি রোববার দুপুরের আগেই আঘাত হানতে পারে।
মোখা মুহূর্তের মধ্যে তার শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল হয়ে উঠছে। মোখা খুবই শক্তিশালী। এটি উপকূলের নিকটবর্তী এলাকার কাছাকাছি চলে এসেছে।
যার ফলে ভোলাসহ অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। আস্তে আস্তে বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৭-৮ ফুট উচ্চতায় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলায় এখনও ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলমান রয়েছে। এ সংকেত বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েকশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম।
দুর্গম চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় ১৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত জেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস