images

সারাদেশ

ভোলায় সন্ধ্যা থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি

১৩ মে ২০২৩, ১১:০৭ পিএম

দ্বীপ জেলা ভোলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যার পর থেকে জেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে চরাঞ্চলে থাকা মানুষদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েকশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সকল বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। জেলার সকল অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝেমধ্যে তীব্র গতিতে বাতাস হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্গম চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় ১৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন।

Vola

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নগদ ৮ লাখ টাকা, ৩৫০ মেট্রিকটন চাল এবং ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তৌফিক-ইলাহী চৌধুরী ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ভোলার ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চরনিজামসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে অন্তত ২ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। গবাদি পশুর নিরাপত্তার জন্য জেলায় ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ৭৪৬টি কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের জন্য সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগসমূহের কর্মকর্তাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রাখা হয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস