images

সারাদেশ

সুন্দরবন থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে সব পর্যটক

জেলা প্রতিনিধি

১১ মে ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম

বাগেরহাট জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ৯টি বানিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙ্গরের পাশাপাশি বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সুন্দরবন বিভাগসহ সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশী সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ কাজ শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় বাগেরহাটের কয়েক শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ফিশারি ঘাট, রায়েন্দা, মোংলা, রামপালে আশ্রয় নিয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় দুর্যোগ  ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে জেলার ৪৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলার ৯টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মেডিক্যাল টিম। নৌবাহিনী, কেস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
 
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় মোংলা বন্দরে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজকে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরে পন্যবাহী ১১টি বানিজ্যিক অবস্থান করছে। ওই সব জাহাজকে নিরাপদ থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, দুই নম্বর সর্তকতা সংকেত থাকায় এখনো মোংলা বন্দরে জাহাজে পন্য ওঠানামার কাজ চলছে। বন্দরে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেই জাহাজে পন্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করা হবে।
  gg
বাগেরহাটের পুর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিরাপদ থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে কয়েক শত ফিশিং ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশী সব পর্যটকসহ বনজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কোস্টগার্ডের সাথে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। শক্রবার দুপুরের মধ্যেই সুন্দরবন থেকে দেশি-বিদেশী সব পর্যটকসহ বনজীবীদের লোকালয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

প্রতিনিধি/একেবি