images

সারাদেশ

ভোলায় ১০ লাখ মানুষের জন্য প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি

১১ মে ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

ঘূর্ণিঝড়  ‘মোখা’ মোকাবিলায় জানমালের ক্ষতি কমাতে ভোলা উপকূলীয় এলাকায় ৭৪৬টি  আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ১০ লাখের বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম।মাঠে রয়েছেন ১৩ হাজার ছয়শ’ জন স্বেচ্ছাসেবক।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঝড়ের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগের পরবর্তী এই তিন ধাপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

এছাড়া সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস,এম, দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা সার্বিক বিষয় নিয়ে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সঙ্গে মিটিং করে তাদেরকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছি। বিপদ সংকেত দেওয়া হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে উপকূলীয় জেলার জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে মাঠে থাকা পাকা ধান ইতোমধ্যে কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা।

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য মতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে  এক হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রবল ও শুক্রবারের (১২ মে) মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

প্রতিনিধি/একেবি