images

সারাদেশ

হাতিয়ায় প্রস্তুত ২৪২ আশ্রয়কেন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি

১১ মে ২০২৩, ০৬:১০ পিএম

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় হাতিয়াতে সিপিপির ১৭৭ টি ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। সকালে উপজেলা পরিষদের প্রতিটি ইউনিটে লাইভ জ্যাকেট, গানবুট, রেইনকোটসহ ১৪টি আইটেমের একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়। যাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় এসব ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে থেকে কাজ করতে পারেন।

সরেজমিনে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের জহরলাল মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছেন। এ সময় সিপিপির ইউনিট প্রধান আবদুস সহিদ জানান, হাতিয়াতে ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অনেকগুলো তালা বদ্ধ থাকে, যা আজ সকাল থেকে খুলে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার পথ পরিষ্কার করছেন তারা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু, সহকারী কমশিনার (ভূমি) গোলাম সরোয়ার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেনসহ কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সিপিপির ১৭৭ টি ইউনিটে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়া হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন চর ঢালচর, দমারচর, চরগাসিয়াসহ নতুন করে জেগে উঠা যেসব চরে জনবসতি গড়ে উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের কাছে ও ঘূর্ণিঝড়ের বুলেটিন প্রচার ও আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। 

প্রতিনিধি/ এজে