জেলা প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৪৮ পিএম
ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ৭৬ কিলোমিটার পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। দুটি মহাসড়কেরই চার লেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা এবং সড়কের বেহাল দশা ও খানাখন্দের কারণে যান চলছে বেশ ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকে এ সড়কে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঈদেও সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে না। দুই মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের অন্তত ৪০ কিলোমিটারে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে যাত্রীদের।
সড়ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০.৫৮ কিলোমিটার চার লেন সড়ক নির্মাণ। এর আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার। করোনাকালীন নানা জটিলতায় বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ অনেকটা ধীরগতিতে চলে। এই মোট ৪০ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, যার মধ্যে যাত্রীবাহী যানবাহন প্রায় ২০ হাজার।

বাসচালক রবিউল মিয়া জানান, দুটি সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কগুলোর অবস্থা করুণ। এতে আসন্ন ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির শঙ্কা দেখা দিতে পারে। এছাড়া নির্মাণকাজ করতে সড়ক খুঁড়ে রাখাসহ একপাশ বন্ধ করে রাখায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সে সঙ্গে তীব্র ধুলাবালির কারণে এসব পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকি নিয়েই আমাদের এ সড়কে চলতে হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী রেহেনা বেগম জানান, রাস্তার খানাখন্দ ও যানযটের কারণে আমাদের এক ঘণ্টার পথ যেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাগে। তিনি দ্রুত সড়কগুলো মেরামতের দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অবশিষ্ট সড়ক দ্রুত মেরামত করা হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের ৭টি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানযট নিরসনে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
টিবি