জেলা প্রতিনিধি
০৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:১২ পিএম
শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুদ (২৩) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ১২ বছর বয়সী নিহত স্কুলছাত্রের নাম মো. জসিম মিয়া। সে ওই ইউনিয়নের হাঁসধরা পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে এবং হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। আর আটককৃত মাসুদ বিলভরট এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বুধবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জসিমের মা জবেদা বেগম জসিমকে বাজার থেকে পান আনার কথা বলে। পরে জসিম তার বড় ভাই রুবেল মিয়ার অটোরিকশা ভ্যানটি নিয়ে হাঁসধরা গ্রামের বাজারে যায়। এসময় মাসুদ ফুঁসলিয়ে জসিমকে হাঁসধরা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে জসিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক রিকশা ভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। পরে সেই গাড়ী বিক্রির জন্য শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজারে আসে মাসুদ। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা মাসুদকে আটক করে অটোরিকশাভ্যানসহ শ্রীবরদী থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় পরও শিশু জসিম বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে হাঁসধরা গ্রামের ওই ধান ক্ষেতে জসিমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, শিশুটির গলা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে