জেলা প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সপ্তগ্রাম সম্মিলনী খেজুরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক জামায়াতের নেতা। তিনি পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও যুদ্ধপরাধের অভিযোগে আজীবন কারা দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর একান্ত ঘনিষ্ট ছিলেন।
শনিবার (২৫ মার্চ) ওই মামলার একটি কপি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের কাছে প্রদান করেছেন মামলার বাদী ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক মো. জাকির হোসেন।
দায়ের হওয়া ওই মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সদন অনুযায়ী তিনি ১৯৭৪ সালে সাড়ে ১১ বছর বয়সে দাখিল (এসএসসি) পাশ করেছেন। ফাজিল (ডিগ্রি) পরীক্ষা দিয়েছেন ১৯৮০ সালে। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে ফাজিলের সনদ ইস্যু হয়ে থাকলেও তার সনদ ইস্যু হয়েছে ১৯৭৯ সালে। তাছাড়া ১৯৭৮ সালের পাস করা তার আলিম (এইচএসসি) সনদে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (ঢাকা) নামের বানান ভুল রয়েছে। তার আলিম পাসের সনদে জন্ম তারিখ ১৯৬০ সালের ১ মার্চ হলেও তা কেটে ১৯৬৩ সালের ১ জুন করা হয়েছে।
ওই শিক্ষক তার সনদের জন্ম তারিখ সঠিক আছে দাবি করে জানান, তিনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তার দাখিলের সনদের জন্ম তারিখ ঠিক করিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, তার সনদে জন্ম তারিখ কেটে স্বাক্ষর দেওয়া আছে। তবে ওই স্বাক্ষরটি বোর্ডের কোনো কর্মকর্তার তা দেওয়া নাই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করলে সত্য ঘটনা উদঘাটন হবে।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সঞ্জীব পাগল জানান, ওই শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
টিবি