নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ মার্চ ২০২৩, ১০:১৬ পিএম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আলো স্বল্পতার কারণে উদ্ধার অভিযান আজকের মতো সমাপ্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান আজকের মতো স্থগিত করা হয়। রাতেই উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। যদিও ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বিস্ফোরণের এক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসূল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আরও অন্তত ৩০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বিস্ফোণের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে ভরা হচ্ছিল অক্সিজেন। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে বেশ কয়েকটি সিলিন্ডারে। মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের ৩টি ইউনিট। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও ৬টি ইউনিট। এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে আগুন নেভাতে একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। পরে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও যোগ দেয় আরও কয়েকটি ইউনিট। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে নিরলস পরিশ্রম করে।
কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় ওই সময় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা। আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসন প্রথমে ৪৯ জন নিহতের তথ্য দিলেও পরে জানানো হয় এই সংখ্যাটা ৪১। তবে পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন মারা যান। এতে সেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ জনে।
এইউ