জেলা প্রতিনিধি
০২ মার্চ ২০২৩, ১২:৩১ পিএম
সৌদি আরব থেকে এক প্রবাসী গ্রামের বাড়ি পৌঁছে জানতে পারেন স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা ও তাদের মেয়েকে নিয়ে মসজিদের ইমামের সঙ্গে পালিয়েছেন স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার খোশবাস এলাকায় ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মঞ্জিল হোসেন খোশবাস লুতু চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা। তাদের একটি ছেলেসন্তান এবং দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন— জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার হালিমা নগর গ্রামের আয়েত আলীর মেয়ে স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩০) ও মসজিদের ইমাম বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আরিফ হোসেন ওরফে কাজল (২৭)।
জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে মঞ্জিলের সঙ্গে বিয়ে হয় নাসিমার। তখন থেকেই মঞ্জিল মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ভালো আয়ের আশায় সৌদি আরব পাড়ি দেন তিনি। প্রায় ১৩ বছরের সংসারে তাদের দাম্পত্য জীবনও সুখের ছিল। হঠাৎ করে খোশবাস এলাকার মসজিদের ইমাম আরিফের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন নাসিমা। তার স্বামী তখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এদিকে বিষয়টা জানাজানি হলে নাসিমার ভাই মনির হোসেনসহ সবাই তাকে তিন সন্তানের দিকে তাকিয়ে সংসারে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য বিমানে ওঠেন মঞ্জিল। তার আগে মঞ্জিল ও নাসিমার ফোনে স্বাভাবিকভাবেই কথা হয়। মঙ্গলবার ভোরে মসজিদের ইমাম আরিফ হোসেন ওরফে কাজল একটি গাড়ি নিয়ে আসেন নাসিমাকে নিয়ে যেতে। এ সময় নাসিমা তার আলমারিতে থাকা ১০ ভরি সোনার গয়না, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ছোট কন্যাশিশুকে নিয়ে আরিফের সঙ্গে পালিয়ে যান। ওই দিন দুপুরের দিকে এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি এসে পৌঁছান সৌদি ফেরত মঞ্জিল। তিনি এসেই এমন দুঃসংবাদ শুনতে পেয়ে স্ত্রী নাসিমার পরিবারকে সংবাদ দিয়ে আনেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় স্ত্রী নাসিমা আক্তারের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রবাসী মঞ্জিলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিবি