ধামইরহাটে বিজিবির ওপর হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে মাদককারিদের তল্লাশির সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে সঙ্গবদ্ধ মাদক কারবারিরা। এ সময় অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে বিজিবি। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু মাদক ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার উমার ইউনিয়নে চকচন্ডি সীমান্তে সুন্দরা ও চকমহেশ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন পিএসসি।

জানা যায়, বুধবার বিকেলে চকচন্ডি বিওপি ক্যাম্পের নায়েক মিজানের নেতৃত্বে একটি দল চকচন্ডি ক্যাম্প এলাকায় সুন্দরা ও চকমহেশ টহল দিচ্ছিলেন। ভারতীয় সীমান্তে ঘেঁষা ধামইরহাট উপজেলার চকমহেশ গ্রামের উত্তরে মাঠে নজরুল ইসলামের সরিষা ক্ষেতের পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তিনজন আরোহী যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেল আরোহীদের গতি বিধি সন্দেহ হলে তাদের পথ রোধ করে দেহ তল্লাশি শুরু করে বিজিবি সদস্যরা। এসময় ওই তিনজন বিজিবি সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে ওই তিনজন তাদের সহযোগীদের মোবাইল ফোন করলে ৫-৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে আরও ১০-১২ জন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বিজিবি সদস্যদের মারতে শুরু করেন।

এসময় মাদক কারবারিদের সঙ্গে বিজিবি সদস্য লেন্সনায়েক হাফিজ ও সিপাহী মজিবরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। সংবাদ পেয়ে চকচন্ডি ক্যাম্প হতে আরও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারী মাদক কারবারিরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল, ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও তিন বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। হামলাকারি মাদক কারবারিদের আটকের অভিযান শুরু হয়েছে। হামলা ও অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

টিবি