images

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় এক রাতে তৈরি জিনের মসজিদ!

জেলা প্রতিনিধি

১৬ মার্চ ২০২২, ১১:৪৭ এএম

images

ঠাকুরপুর জামে মসজিদ ঐতিহ্য ও নান্দনিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি অন্যতম প্রাচীন ইসলামিক স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে পরিগণিত। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের পার্শ্ববর্তী ঠাকুরপুর গ্রামে অবস্থিত ঠাকুরপুর জামে মসজিদটি বর্তমানে পীরগঞ্জ জামে মসজিদ হিসেবেই সুপরিচিত। 

এই মসজিদের মূল অংশ নির্মাণের ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য পাওয়া না গেলেও স্থানীয় প্রবীণদের ভাষ্য মতে, ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাধক পুরুষ হযরত আফু শাহ্ ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দ্যেশ্যে ঠাকুরপুরে এসে খানকাহ্ স্থাপন করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে, তিনি জ্বীনদের সাহায্য নিয়ে এক রাতের মধ্যেই মসজিদটি নির্মাণ করেন। সে কারণে স্থানীয় অনেকেই এই মসজিদটি ‘জিনের মসজিদ’ হিসেবে অভিহিত করেন। 

ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন এই মসজিদ প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওরশের আয়োজন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি দেখার জন্য এখানে আসেন।

প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত ঠাকুরপুর জামে মসজিদে প্রবেশ করলেই আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি প্রবেশ তোরণ চোখে পড়বে। মসজিদের পিছনে রয়েছে একটি বড় পুকুর, আরও রয়েছে সারি সারি নারকেল গাছ এবং কবরস্থান।

লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে যে, প্রতি বৃহস্পতিবার এই মসজিদে জ্বীনেরা নামায পড়ে এবং মানুষের রেখে যাওয়া তেল বা পানিতে দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে যায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস— এই পানি বা তেল পড়া তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে থাকে। 

মূল কাঠামো ঠিক রেখে বিভিন্ন সময় মসজিদটির সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি মসজিদটিতে আধুনিকায়নের ছোঁয়াও লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস। তবে ভিতরের পুরাতন ওই অংশটি রয়েছে এখনও আগের মতোই।

এএ