জেলা প্রতিনিধি
০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম
তীব্র শীতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে মাগুরাবাসীর জীবনযাত্রা। একদিকে কঠিন হয়ে পড়েছে দৈনন্দিন কাজ কর্ম অন্যদিকে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক অসুস্থতা।
গত চার পাঁচদিন সন্ধ্যা থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে মাগুরা। সকাল ১০টা বা ১১টার আগে দেখা মিলছে না সূর্যের।
শহরের রিকশা চালক রহমত বলেন, সকাল থেকে কুয়াশার কারণে রিকশা চালানো খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার উপর বাইরে লোকজন বের হয় কম। সন্ধ্যার পর থেকে একই অবস্থা। এই অবস্থায় বাজার করে বাড়ি ফেরার মতো টাকাও রোজগার হচ্ছে না।

শহরের ইসলামপুর এলাকার মুদি দোকান মালিক প্রাণকৃষ্ণ বলেন, দুপুরে কিছু খরিদ্দার এলেও সকাল এবং সন্ধ্যায় শহরে কোনো লোক থাকে না।
কলেজ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মশিউল আজম বলেন, শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছি। বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এখন ঘরবন্দি বললেও কম বলা হবে, লেপ বন্দি বলতে পারেন।
পারনান্দুয়ালী এলাকার অধিবাসী নাজনীন সুলতানা বলেন, আমার ২ বছরের শিশু শীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, সতর্ক না হলে নিউমোনিয়া হতে পারে।

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. বিকাশ বিশ্বাস বলেন, শীত আসার পর থেকেই শিশু ও বৃদ্ধ রোগির সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি। ২০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু ওয়ার্ডে দুইশর বেশি রোগি থাকছে সবসময়। যা আমাদের ধারণ ক্ষমতার বাইরে। বাধ্য হয়ে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। চিকিৎসকের অনেক পদও শূন্য। ফলে, চিকিৎসা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে।
প্রতিনিধি/এসএস