জেলা প্রতিনিধি
৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৪৬ পিএম
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাগর হোসেন (১৪) নিখোঁজের ৯দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীর বাবা মো. মামুদ আলী বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় এই বিষয়ে ৪ থেকে ৫ জনের নাম উল্লেখ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকারিয়া হোসেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গতকাল উপজেলার খলশী ইউনিয়নের পারমাস্তল গ্রামের নদীর পাড়ে সাগরের মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সাগরের মরাদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সাগরের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার ছোট শ্যামপুর এলাকায়। সে এই এলাকার মো. মামুদ আলীর ছেলে। সাগর পারমাস্তল মুন্সি বন্দে আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার ছোট শ্যমপুর গ্রামের শায়নালের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০), শায়নালের মেয়ে রিমা বেগম (২২) ও তার মেয়ের জামাতা ইকবাল (২৮)। অজ্ঞাত আরও কয়েক জনের নামে নিহতের বাবা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদি ও বিবাদিদের মাঝে জমিজমা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল। বিবাদিরা প্রকাশে বাদিদের পরিবারের সদস্যদের খুন করে গুম করে ফেলার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।
এর জের ধরে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ঘিওর উজেলায় বিজয় মেলায় বাদির ছেলে সাগর আসেন। সেখান থেকে তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে পারমাস্তর গ্রামের নদীর পারে পুঁতে রাখেন।
ওসি মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর রাতে সাগর মেলায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। সে জন্য ২২ ডিসেম্বর সাগর নিখোঁজে বলে থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার। গত শুক্রবার নদীর পারে সাগরের মরাদেহ দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বাবা এই বিষয়ে আজ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি আরও বলেন, আসামিদের মধ্যে শায়নালের স্ত্রী শেফালী বেগম ও তার মেয়ে রিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস