জেলা প্রতিনিধি
২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫০ পিএম
দিন যতই যাচ্ছে শীতের প্রকোপ বাড়ছে কুমিল্লায়। ভোরের হালকা কুয়াশা আর মিষ্টি শীতের অনুভবটা যেন প্রকৃতির এক আশীর্বাদ। ঘুম থেকে উঠে চোখের সামনে কুয়াশা ভেজা মায়াবী এক মিষ্টি সকাল। অন্যদিকে চলছে পিঠা খাওয়ার ধুম।
হরেক রকমের পিঠা-পুলির স্বাদ নিতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন শিশু-কিশোরসহ আবাল বৃদ্ধ-বনিতারা। সারা বছর কম বেশি পিঠা চললেও শীত এলেই বেড়ে যায় ক্রেতাদের আনাগোনা। আর এই সুযোগে পিঠা-পুলির দোকানিরা বাড়তি আয় করছেন।

কুমিল্লার চকবাজার, তেলিকোনা, কাটাবিল, কান্দির পাড়-টাউন হলের মাঠে, বাদশা মিয়ার বাজার, ছাতিপট্টি, কাপড়িয়াপর্টি, ঝাউতলা, রাজগঞ্জ, বজ্রপুর, মোগলটুলি, ঝাউতলা, বাদুরতলা, শাসনগাছা, রানীর বাজার, ভিক্টোরিয়া কলেজ মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পিঠা বেচাকেনা।
কুমিল্লার তেলিকোনা চৌমুহনীর পিঠা বিক্রেতা মো. বাদল জানান, শীতকালে পিঠার কাস্টমার থাকে বেশি তাই এ সময়টাতে ভাপা পিঠা, পিঠা ও চিতই পিঠাসহ শীতকালের পিঠা বিক্রি করে থাকি। শীতে মানুষজন পিঠা বেশি খায় তাই বিক্রিও বেশি।
মাহবুব পিঠা ঘরের বিক্রেতা মো. মাহবুব মিয়া বলেন, আমরা শীতকালে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, মেরা বা গুলগুলা পিঠা, তেলের পিঠা, ছিটা বা জালি পিঠা, পিঠার সাথে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা শুটকি, কাচা মরিচের ভর্তা ও সরিষার ভর্তা দিয়ে পরিবেশ করে থাকি। আর শীতকালে গরম গরম পিঠার আলাদা মজা তাই শীতকাল ক্রেতাগণ পিঠা খেয়ে মজা ও আনন্দ পায়।

সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম ও আরিফ বলেন, আমি শীতকাল আসলে পিঠা খেতে পছন্দ করি। শীতকালে শীতের সময় ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
কথা হয় পিঠা খেতে আসা জজকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আল আমিনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমি নিজে শীতকালে বাইরের থেকে পিঠা খেয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যাই। দেশীয় পিঠাতে ক্ষতিকারক কোনো উপাদান নেই, যা ফাস্ট ফুডে রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দা তানজিনা কালাম বলেন, ফাস্ট ফুডের কারণে এখনকার ছেলে-মেয়েরা অল্প বয়সেই অনেক রোগের শিকার হয়। ফাস্টফুড ও জাংক খাবার খাওয়ার কারণে কোলন ক্যানসারসহ বিভিন্ন প্রকারের কঠিন রোগ হয়ে থাকে। তারপরও ফাস্টফুডের প্রতি এখনকার প্রজন্মের ঝোঁক বেশি।
প্রতিনিধি/এইচই