জেলা প্রতিনিধি
২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:২৬ পিএম
বগুড়ার শিবগঞ্জে মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার গেম নিয়ে বিরোধের জের ধরে গলা কেটে খুন করা হয় স্কুল ছাত্র সিফতাউল হাসান সিফাতকে (১৩)। আর সিফাতকে খুন করে তারই বন্ধু। অভিযুক্ত শিশু আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত হওয়ায় পুলিশ তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং এ এতথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, সিফাত খুনের মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম ঢাকার মনিপুরীপাড়া থেকে খুনের সাথে জড়িত শিশুকে গ্রেফতার করে।
প্রেসব্রিফিংএ জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু জানায় যে, সে কৌশলে সিফাতের(১৩) মোবাইল ফোন থেকে ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। এতে সিফাত বারবার তার গেমের আইডি ফেরত চাইলে তার বন্ধু দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে সিফাত(১৩) কয়েকজন বন্ধু মিলে তাকে চাপ দিয়ে আইডি ও পাসওয়ার্ড ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
এনিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই সূত্র ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু ঘটনার দিন ২৫ ডিসেম্বর সিফাত(১৩) তার বড় বোনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন মেরামত করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথিমধ্যে তার বন্ধুর সাথে দেখা হয়।
সে কৌশলে সিফাতকে (১৩) তার দাদার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন নিশ্চিন্তপুর গ্রামে বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ওই শিশু পেছন থেকে সিফাতের (১৩) গলায় ধারালো চাপাতি দ্বারা আঘাত করে। মাটিতে পড়ে গেলে সে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম শেষে মুখ চেপে ধরে জবাই করে ও বাম হাতের কবজির রগ কেটে দেয়। হত্যার পর সে আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে ঢাকা চলে যায়।
উল্লেখ্য গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একটি বাঁশ বাগান থেকে স্কুল ছাত্র সিফাতের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। সিফাত বগুড়া শহরের নিশিন্দারা খাঁপাড়ার শাহ আলমের ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের পর বাবা শাহ আলম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
প্রতিনিধি/একেবি