images

সারাদেশ

কক্সবাজারে প্রেমিকের সন্তান হত্যা, নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি

০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪৪ পিএম

কক্সবাজারের চকরিয়ায় একে একে তিন বিয়ে বিচ্ছেদের পর সাবেক প্রেমিককে বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এক নারী। তাতে অসম্মতি জানালে প্রেমিকের শিশুসন্তানকে হত্যা করেন জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নী নামে ওই নারী। 

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) আদালতের রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। 

এদিন বিকেলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে। 

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নীর সঙ্গে নিহত শিশুর বাবা সাহাব উদ্দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নীর অন্যত্র বিয়ে হয়। একে একে তিনটি বিয়ে করলেও কোনো সংসারই টেকেনি তার। এরপর সাহাব উদ্দিনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন তিনি। এতে রাজি হননি সাহাব উদ্দিন। একপর্যায়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার শিশুপুত্রকে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ ঘটান।

মামলার নথির বরাতে মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী জানান, ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি বিকেলে চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ এলাকায় বাড়ির সামনে বাদি রুনা ইসলামের ছেলে আল ওয়াসী ও মেয়ে ইফতি প্রতিবেশী রফিক উদ্দিনের শিশু সন্তান মিনফা ও রাইসার সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। একপর্যায়ে বাদির ছেলে আল ওয়াসী ও মেয়ে ইফতিকে নাস্তা খাওয়ানোর জন্য খুঁজতে যান। এ সময় ইফতিকে পেলেও আল ওয়াসীর সন্ধান পাননি। পরে স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে ঘটনার দিনই চকরিয়া থানায় মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। ঘটনার পরদিন ২২ জানুয়ারি সকালে মাতামুহুরী নদীর দক্ষিণ পাড়ে পানিতে এক শিশুর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর স্থানীয়দের কাছ থেকে পেয়ে স্বজনরা শনাক্ত করেন।

ওইদিন রাতে নিহত শিশুর মা রুনা ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সেদিন রাতেই পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নীকে গ্রেফতার করে। পরে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

প্রতিনিধি/এইউ