images

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভক্ত আওয়ামী লীগ কি এক হবে?

জেলা প্রতিনিধি

০৮ নভেম্বর ২০২২, ১২:১২ পিএম

প্রায় ৮ বছর পর আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে চাঙা ভাব বিরাজ করছে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে। এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবারও এক হবে বলে আশা তৃণমূলের কর্মীদের।

শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তবে সময়ের পরিক্রমায় জেলা আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে পড়ে। যদিও দীর্ঘদিন পর নতুন সম্মেলনকে ঘিরে বিভক্ত নেতারা আবারও এক হবেন বলে আশা করছেন তৃণমূলের নেতারা। সম্মেলন উপলক্ষে পুরো শহর ছেয়ে গেছে পোস্টার-ব্যানারে। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মেলন সফল করার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সভায় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।

এরপর সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘এখন ব্যবস্থা নিতে গেলে লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড়ের মতো অবস্থা হবে। তখন কাজ করবে কে?’

তবে এখন সর্বত্র আলোচনা কারা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। যদিও বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক দুজনেই প্রার্থী নন বলে জানিয়েছেন।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে কোথাও আমি চেয়ে পদ নিইনি। দলই নির্ধারণ করেছে কখন কোন পদে থাকবো। বিগত সম্মেলনেও আমি কোনো প্রার্থী ছিলাম না, এবারের সম্মেলনেও আমি প্রার্থী নই।‘

বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘দলের সভানেত্রী আমাকে যে পদেই রাখেন, আমি দলের জন্যে কাজ করে যাব। আশা করি আমি বঞ্চিত হবো না।’

সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো পদেই প্রার্থী না। এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার। তিনি যাকে রাখেন, সেই থাকবে। আমাকে রাখলে রাখতে পারেন। তবে পোস্টার আর ব্যানার লাগিয়র পদের আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন অনেকে।’

জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাঞ্ছারামপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ. বি. তাজুল ইসলাম এবং নাসিরনগর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নাম আলোচনায় আছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। তবে সভাপতি হিসেবে কসবা-আখাউড়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং আইমন্ত্রী আনিসুল হকের নাম আগে জোরেসোরে আলোচিত হলেও এখন সেটি নেই। তিনি নিজ উপজেলা কসবা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নাম আলোচনায় আছে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ হিসেবে দলের একনিষ্ঠকর্মী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

টিবি