জেলা প্রতিনিধি
০৭ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫৭ পিএম
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ির ৪২টি সেতু উদ্বোধন করেন। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি এই সেতুগুলোর শুভ উদ্বোধন করেন।
সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো শহর। বেইলি সেতুর পরির্বতে পাকা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় খুশি খাগড়াছড়ির বাসিন্দাও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে খাগড়াছড়ির সঙ্গে যুক্ত হয় জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। সকাল ৯টা বাজার আগেই খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েক হাজার মানুষ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। স্থানীয় শিল্পী ময়ুর নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্টান শুরু হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র নিমলেন্দু চৌধুরীসহ উচ্চ পদস্থ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা।
খাগড়াছড়ির দুই পাশে পাহাড় তার মাঝখানে সড়ক। একটা সময় ঝুকিঁপূর্ণ বেইলি সেতু পাহাড়ি আকাবাঁকা সড়কের একমাত্র ভরসা ছিল। বেইলি সেতু পাতাটন খুলে নিচে পড়ে যেত বা সেতু ভেঙে চেঙ্গি, মাইনি নদী ও ছড়াতে গাড়ি পড়ে ঘটত দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ৪২টি বেইলি সেতু ভেঙে সেখানে পাকা সেতু নির্মাণ করায় ‘নিরবিচ্ছিন্নভাবে’ সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগ জানায়, সেতুগুলোর মধ্যে সদরে ১০টি, পানছড়িতে ৯টি, দীঘিনালায় ৫টি, মহালছড়িতে ৫টি, মাটিরাঙায় ৩টি, গুইমারায় ১টি, রামগড়ে ৩টি, লক্ষ্মীছড়িতে ৫টি ও বাঘাইছড়িতে ১টি রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এসব সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ভূ-প্রাকৃতিক গঠনের কারণে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা সমতলের তুলনায় ভিন্ন। উঁচু-নিচু পাহাড়ের পথ ধরে তৈরি হয় সড়ক যোগাযোগ। ১৯৭৬ সালে কাঁচা সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। তবে পাহাড়ি সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল বেইলি সেতু বা ব্রিজ। ১৯৮০ সালে পরবর্তী সময়ে নির্মিত তৈরি হওয়া এসব ব্রিজ দিয়ে কেটে গেছে প্রায় চার দশক।
এ সব ব্রিজ ছিল যোগাযোগের মরণফাঁদ। ব্রিজ ভেঙে গেলে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হত। সড়কের যানবাহনের চাপ বাড়ার সাথে সাথে বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
প্রতিনিধি/এইচই