images

সারাদেশ

গারো পাহাড়ে দুই দিনের 'তীর্থোৎসব'

জেলা প্রতিনিধি

২৭ অক্টোবর ২০২২, ০১:১৯ এএম

‘মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে মা মারিয়া’ এই মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দুইদিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব। শেরপুর সীমান্তে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ২৪তম বার্ষিক এ তীর্থোৎসবের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।  

ভারত সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাখো পূণ্যার্থীর মিলন ঘটবে এ উৎসবে, আশা আয়োজকদের।

আয়োজক কমিটির তথ্যমতে, শেরপুর সীমান্তের সাধু লিওর ধর্মপল্লী। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা। মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া -এই মূলসুরে এবার ২৫তম তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। 

১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে।

প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পূণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।

festivalধর্মপল্লীর খ্রিস্ট ভক্তরা জানান, করোনার ধকল কাটিয়ে এবারো মহাসমারোহে হবে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। প্রায় এক মাস আগে থেকে কাজ শুরু হলেও, এখন চলছে আলোকসজ্জাসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

এই উৎসবে পাপস্বীকার, মহাখ্রিস্টযাগ, মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিশিজাগরণ ও জীবন্তক্রুশের পথসহ থাকছে নানা অনুষ্ঠানমালা। 

তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভান্টে ফাদার তরুণ বনোয়ারী ঢাকা মেইলকে জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে ২৪তম বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হবে। আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ভক্তসমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

বারমারী ধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তন রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, তীর্থোৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত কয়েকদিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে পুরো পল্লী। 

এজেড