images

সারাদেশ

বৃষ্টি-বাতাস নেই, পানিবন্দি ভোলার মানুষ

জেলা প্রতিনিধি

২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১২ এএম

ভোর ৪টার পর থেকে ভোলায় কমে গেছে বৃষ্টিপাত ও তীব্র গতির বাতাস। তবে কমছে না নদ-নদীর পানি। পানিতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ২০ লাখ মানুষ। এর আগে বন্যায় এতো পানি দেখেনি ভোলাবাসী। রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র গতিতে বাতাস বইলেও এখন বৃষ্টি ও বাতাস নেই।

এর আগে মধ্যরাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বাতাসের তীব্র গতি থাকায় লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি হয়ে উঠে দ্বীপ জেলা ভোলা। জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় দুই শর্তাধিকেরও বেশি ঘরবাড়ি দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্বাভাবিক পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, ফসলি জমি এবং মাছের ঘের। বিদ্যুৎ বিছিন্নসহ দুর্বল হয়ে পড়েছে নেটওয়ার্ক।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবচে বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনপুরা, চর পাতিলা, চর কাজিলা ও চর জহির উদ্দীনে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি দোকানপাট ও স্কুল কলেজেসহ সড়ক ও মহাসড়কে। ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের একাধিক টিম সড়ক ও মহাসড়কে ভেঙে পড়া গাছপালা অপসারণের কাজ করছে।

ভোলা-চরফ্যাশন ও ভোলা-দৌলতখান আঞ্চলিক সড়কে বিশালাকৃতির কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়েছে। যাঁর জন্য কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই দুই রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।

এদিকে জেলার সদর উপজেলার সোনাডগী ও জোর খালে বেধে রাখা জেলেদের কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গাছ চাপায় ও ঘর চাপায় মোট ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রাত ১টার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র গতিতে বাতাস বইতে শুরু করে। আতঙ্ক এবং উৎকন্ঠায় রাত জেগে দোয়া-দরুদ পড়েছে দ্বীপ জেলার ২০ লাখ মানুষ।

প্রতিনিধি/একেবি