images

সারাদেশ

মধ্যরাতে লণ্ডভণ্ড ভোলা, নেটওয়ার্ক দুর্বল

জেলা প্রতিনিধি

২৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:০৯ এএম

সোমবার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে দ্বীপ জেলা ভোলায় তীব্র গতিতে বইতে শুরু করেছে বাতাস। ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বাতাসের তীব্র গতি থাকায় লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে। জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দুই শতাধিকেরও বেশি ঘরবাড়ি দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, ফসলি জমি এবং মাছের ঘের। বিদ্যুৎ বিছিন্নসহ দুর্বল হয়ে পড়েছে নেটওয়ার্ক।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনপুরা ও চর জহির উদ্দীনে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি দোকানপাট ও স্কুল কলেজেসহ সড়ক ও মহাসড়কে। ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের একাধিক টিম সড়ক ও মহাসড়কে ভেঙে পড়া গাছপালা অপসারণের কাজ করছে। তবে চরফ্যাশন ও ভোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে জানা গেছে, তীব্র গতিতে বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তাদের কাজ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

এদিকে জেলার সদর উপজেলার সোনাডগী ও জোর খালে বেধে রাখা জেলেদের কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গাছ চাপায় ও ঘর চাপায় দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আরেকজনের মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে। তবে নেটওয়ার্ক দুর্বলতার কারণে এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাত ১টার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র গতিতে বাতাস বইতে শুরু করেছে। আতঙ্ক এবং উৎকণ্ঠায় রাত জেগে দোয়া-দরুদ পড়ছে দ্বীপ জেলার ২০ লাখ মানুষ।

এদিকে সকাল থেকে জেলায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৩ নটিক্যাল মাইল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে। এছাড়াও ৭০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি