জেলা প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৫৮ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে৷ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷ ঝড়ে ক্ষতির হওয়ার আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষজন সাইক্লোন শেল্টারে যেতে শুরু করেছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাত নম্বর সংকেত জারি হওয়ার পর রেড ক্রিসেন্ট ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলার সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া মোংলা সমুদ্র বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে৷
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বাগেরহাট জেলা যুব প্রধান শরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা মোংলা, শরণখোলা, বাগেরহাটসহ জেলার সব কটি উপজেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে৷ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকরা ইতোমধ্যে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে শুরু করেছে৷ ঘূর্ণিঝড়টি যদি আঘাত হানে, তাহলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সকল প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে৷
শরনখোলা উপজেলার নুরুল হক হাওলাদার বলেন, প্রতিবছর ঝড় হলে আমরা সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হই৷ কাঁচাঘরে বসবাস করি৷ ঝড়ের সময় নিজ বাড়িতে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিপদ সংকেতের খবর পেয়ে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছি৷
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষদেরকে নেওয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ২৯৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার সকল প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
প্রতিনিধি/এইচই