images

সারাদেশ

ক্যানসার আক্রান্ত শিশু সাবিতকে বাঁচাতে বাবা-মা’র আকুতি

জেলা প্রতিনিধি

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৪৫ পিএম

দুই বছর বয়সী শিশু সাবিত। এই বয়সেই তার শরীরে বাসা বেঁধেছে প্রাণঘাতী রোগ ব্লাড ক্যানসার। বর্তমানে ঢাকার মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্বাবধানে রয়েছে সে। 

শেরপুরের নকলা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারদী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাবিত। ছোট্ট বাচ্চাটি নিজেও জানে না কতটা জটিল রুগে ভুগছে সে। আর এ দিকে ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যে খরচ করেছেন অন্তত তিন থেকে চার লাখ টাকা। ঋণের পাশাপাশি বিভিন্ন মানুষের সাহায্যে সাবিতের চিকিৎসা চালিয়ে নিলেও এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন তারা।

সাবিতের পরিবার জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ সাবিতের পা অবশ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে শেরপুর তারপর ময়মনসিংহে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তারা সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ঢাকাস্থ মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে নেয়ার পর সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গত মার্চ মাসে তার ব্লাড ক্যানাসার শনাক্ত হয়। 

এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়ে আকুতি জানিয়েছে সাবিতের দরিদ্র বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা। 

সাবিতের বাবা দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সন্তান সাবিতের শরীরে ৬ মাস আগে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সে সময় থেকেই আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা করানোর চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় বহন করার আর সামর্থ্য নেই। এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবানরা যদি মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে পারে আমার ছোট্ট ছেলে।
  
‘সাবিতের কেমোথেরাপি, ব্লাড ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন নিয়মিত সাবিতের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।’

মা হাছনাত জাহান মিষ্টি বলেন, ‘মানবিক সহায়তা পেলে সুস্থ জীবন ফিরে পেতে পারে আমার কলিজার টুকরা। কষ্টের সংসারে স্বপ্ন ছিল ছেলেটাকে পড়াশোনা করিয়ে যোগ্য করে তুলবো। কিন্তু সেই স্বপ্নে ভাগড়া দিয়েছে ক্যানসার। চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছি।’ 

সাবিতকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

প্রতিনিধি/এএ