জেলা প্রতিনিধি
০১ মার্চ ২০২২, ০৭:১০ পিএম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ না করায় ওয়ালিদ নিহাদ নামে এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে ডেকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় সাত দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) দুপুর ২ টায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে শতাধিক শিক্ষার্থী। মিছিলটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর ও অন্যান্য শিক্ষকরা তাদের সাথে কথা বলতে আসেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মামলা, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, হলের টর্চার সেল বন্ধ, নিহাদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন, র্যাগিং বন্ধের জন্য অ্যান্টি র্যাগিং সেল গঠন, সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও বাধ্য করার সংস্কৃতি বন্ধ করা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশনে যাবেন তারা।
এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সব ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তিন কর্মদিবসের আগেই সকল কাজ শেষ করা হবে। উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর স্যার দেশে আসলেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’
ভুক্তভোগী ছাত্র ওয়ালিদ নিহাদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানান প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের রাজনীতি না করায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) এক শিক্ষার্থীকে রাতভর হলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এর আগে গত রবিবার রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদের ওপর নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ওই হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তপন কুমার সরকার। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এইচই