জেলা প্রতিনিধি
১০ আগস্ট ২০২২, ০১:৫৬ পিএম
মাদারীপুরের কালকিনিতে তিনটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল তৈরির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ওই পরিবারগুলো। এদিকে দেয়ালের একপাশের একটি অংশ দিয়ে চলাচল করলে সেটাও পুরোপুরি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
তবে, সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, ডাসার উপজেলার দক্ষিণ ভাউতলি গ্রামের মহব্বত আলী চৌধুরীর ছেলে শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ২০১৬ সালে কালকিনি পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৯ নম্বর পাঙ্গাশিয়া মৌজায় ৪ শতাংশ জমি কিনে নির্মাণ করেন বসতঘর। তার বসত বাড়ি থেকে ভূরঘাটা কালকিনি রোডে বের হওয়ার জন্য ৬ ফুট হালট ছিল। যা তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন।
কিন্তু গত তিন বছর ধরে দুপাশের প্রতিবেশী মৃত লালু সরদারের ছেলে বাদল সরদার, লিটন সরদার ও মৃত হাসেম খানের ছেলে এস্কান্দার আলী খান চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তুলে দেয়। এতে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে শহিদুল ইসলামকে। শুধু শহিদুল ইসলাম নয়, তার সাথে সমস্যায় পড়েছেন হারুন সরদার ও ইলিয়াস সরদারের পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে পাঙ্গাশিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য নেই কোনো রাস্তা। তার বসতঘরের চারদিক দিয়ে দেয়াল তৈরি করেছে প্রতিবেশি বাদল সরদার, লিটন সরদার ও এস্কান্দার আলী খান। তৈরি করা দক্ষিণ পাশের দেয়ালে ছোট একটি পকেট গেট রাখা হলেও সেটিও ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির চারপাশে দিয়ে দেয়াল তৈরি করায় কখনও দেয়ালের ওপর দিয়ে, কখনও বা দেয়ালের পাশ দিয়ে রাখা ছোট অংশ দিয়ে বাধ্য হয়েই চলাচল করতে হচ্ছে শহিদুল ইসলামসহ আরও ৩টি পরিবারকে।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একটা রাস্তা ছিল। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে এই যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে দেয়াল তোলা হয়েছে। আমার স্ত্রী আর তিন মেয়ে বাসায় থাকে। এভাবে যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করায় আমরা ভীষণ অসুবিধার মধ্যে আছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসকান্দার আলী খানের ছেলে কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা দেয়াল দিয়েছি। আমাদের জায়গা দিয়ে কাউকে বের হতে দিবো না।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইমরান খান বলেন, যদি এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণ ব্যবহার করে আসে, সেক্ষেত্রে রাস্তাটি বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
প্রতিনিধি/এইচই