জেলা প্রতিনিধি
০৭ আগস্ট ২০২২, ১১:৩৯ এএম
জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধিতে যশোরের বাজারে বেড়েছে বাইসাইকেল বিক্রি। সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে বাইসাইকেলের দামও। এতে বাজারে বাইসাইকেল কিনতে এসে ক্রেতাদের চরম অসন্তুষ্ট হতে দেখা গেছে। অনেকে নির্ধারিত মূল্যে বাইসাইকেল কিনতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বাইসাইকেল তৈরির কাঁচামালের মূল্য বিশ্ব বাজারে বৃদ্ধি পাওয়া এবং কিছু পার্টস আমদানি কমে যাওয়ার কারণে বাইসাইকেলের দাম বেড়েছে। এর ফলে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা বা তারও বেশি বেড়েছে প্রতিটি বাইসাইকেলের দাম।
রোববার (৭ আগস্ট) যশোর শহরের একাধিক দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার হিরো সাইকেল বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ২শ টাকায়, রোববার সেই সাইকেল বিক্রি করছে ৮ হাজার ৫শ থেকে ৯শ টাকায়। ছোটদের ২০ ইঞ্চি, ১৬ ইঞ্চি এবং ১২ ইঞ্চি বাইসাইকেলের দামও বেড়েছে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। এছাড়া এভোন ১০ হাজার টাকা থেকে ১১ হাজার ৯শ টাকা, গিয়ার সাইকেল ১৩ হাজার থেকে বেড়ে ১৫ হাজার টাকা হয়েছে। ফনিক্স ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১১ হাজার ৯শত টাকা। ক্যাপ্টেন সাইকেল ৭ হাজার ৩শ টাকা থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।
ক্রেতা হাসানুর রহমান বান্না জানান, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাইকেল কেনার কথা ভাবছিলাম। একদিনেই দাম বেড়ে যাবে ভাবিনি। প্রতিটি সাইকেলের দাম এক হাজার থেকে ২ হাজার বেড়ে গেছে। মনে হয় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছেন বিক্রেতারা। সমস্যা হলো বাজার কেউ মনিটরিং করে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে কেউ দাম বাড়ানোর সুযোগ পেত না।

হঠাৎ বাইসাইকেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শহরের দড়াটানার দোস্ত অ্যান্ড কোম্পানির মালিক জাফর আলী জানান, বিশ্ব বাজারে ডলার, তেল, লোহার কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব বাইসাইকেলের ওপরে পড়েছে।
তবে নাফা সাইকেল স্টোরের প্রোপ্রাইটর শেখ সানোয়ার হোসেন জানান, অধিকাংশ বাইসাইকেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এবাদে কিছু বাইসাইকেল দেশে উৎপাদন করা হয়। কিন্তু এর কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। তাই বাইসাইকেলের বহন খরচ, দোকান খরচ, কর্মচারী বেতনসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মুন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাইসাইকেল ও সাইকেলের কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। তাই সাইকেলের দাম বেড়ে গেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব ঢাকা মেইলেকে জানান, বাইসাইকেল দাম বেড়েছে সকালে জানতে পেরেছি। অনেকে এ বিষয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আজ বাইসাইকেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। আলোচনা যদি ফলপ্রসু না হয় বা তারা যদি আগের দামে কেনা সাইকেলের দাম না কমান, তাহলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
টিবি