images

সারাদেশ

পঞ্চগড়ে হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস, হাড়কাঁপানো শীতে কাহিল ছিন্নমূল মানুষ

জেলা প্রতিনিধি

৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। এ জনপদে তীব্র শীতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘরে নেমে গেছে। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড়কাঁপানো শীতে কাহিল ছিন্নমূল মানুষ।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৯ শতাংশ ছিল। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টির মতো কুয়াশায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পঞ্চগড়ের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে সাত সকালেই বের হন শ্রমজীবী মানুষরা। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে বিঘ্নিত হয়েছে যানবাহন চলাচল।

thumbnail_20251227_080054

মিজানুর রহমান নামের এক পাথর শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন সকালে বরফ গলা ঠান্ডা পানিতে নেমে পাথর উত্তোলন করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আজকে মনে হচ্ছে তীব্র শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। যেন বরফ পড়ছে। তারপরও থেমে নেই কাজ। পরিবারের কথা চিন্তা করেই বাধ্য হয়েই কাজ করতে হয়।

এদিকে, উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশার দাপটে উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। কনকনে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। 

অন্যদিকে, তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার ছিল। গতকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও দিনের সর্বোচ্চ তাপ ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

প্রতিনিধি/টিবি