জেলা প্রতিনিধি
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
মনে লুকিয়ে থাকা কষ্ট থেকেই আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ত্রিশালের আবুল মুনসুর। ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি পেশায় একজন ভিক্ষুক।
তিনি নিজে যে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তার মতো অন্যদের সেই হতাশা দূর করতে চান তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত সোমবার বিকেলে মনোনয়নপত্র জমা দেন আবুল মুনসুর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি একাই ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মোট ভোটারের ১ শতাংশের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। ত্রিশালের ভোটার অনুপাতে এর জন্য কমপক্ষে চার হাজার স্বাক্ষরের দরকার থাকলেও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুনসুর আলী তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে চার হাজার ৭০০ জনের স্বাক্ষর সংবলিত কাগজ জমা দিয়েছেন।
বইলর ইউনিয়নের বড়পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আবুল মুনসুর আগে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে অসুস্থ হয়ে রিকশা চালাতে অক্ষম হয়ে পড়লে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেন। তার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে কর্মক্ষম হলেও গত ১৬ বছর ধরে তিনি ভিক্ষা করছেন। বর্তমানে তিনি ছেলের সংসারেই থাকছেন; তার স্ত্রী মারা গেছেন অনেক আগে।
২০২৩ সালে বইলর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আবুল মুনসুর। সে সময় পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনি চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন না থাকায় সেবার তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
প্রার্থিতার বিষয়ে আবুল মুনসুর বলেন, ‘মনের একটা কষ্ট থেকেই আমি এমপি প্রার্থী হয়েছি। আমি কখনোই বয়স্ক ভাতা বা কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইনি। যদি জয়ী হই, তবে আমার মতো আর কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করব।’
প্রতিনিধি/একেবি