জেলা প্রতিনিধি
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
বরিশালে তীব্র কুয়াশার কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকাগামী পাঁচটি বিলাসবহুল লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করেছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বরিশাল নৌবন্দর থেকে পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তথ্যানুযায়ী, কুয়াশার কারণে বরিশালের সড়ক ও নদীপথ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। রোববার ও সোমবার ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথ বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার আবার চলাচল শুরু হয়। তবে কুয়াশার কারণে ৮ ঘণ্টার যাত্রা ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা।
![]()
ঢাকার উদ্দেশে যেতে বরিশাল থেকে লঞ্চে ওঠা যাত্রী আবদুল মোতালেব বলেন, প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে লঞ্চে উঠেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরাপদে ঢাকা পৌঁছাতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে বাস চললেও কুয়াশার কারণে গতিসীমা কম হওয়ায় সময়ক্ষেপণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপ বাস চালকদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকাগামী চারটি লঞ্চ এবং ভায়া রুটের একটি লঞ্চ যাত্রী নামিয়ে বাতিল করা হয় বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে। এরপর সোমবারও বরিশাল নদীপথে লঞ্চ চলাচল সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসলে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটের সরাসরি চারটি এবং ভায়া রুটের একটি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
![]()
ঢাকা-বরিশাল রুটের বাস চলাচল বন্ধ না হলেও, অতিরিক্ত সাবধানতার সঙ্গে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে সড়কপথে ৪ ঘণ্টার যাত্রায় সময় লাগছে ৬-৭ ঘণ্টা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঘন কুয়াশার কারণে গত চারদিন ধরে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এই সময় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
![]()
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মাশারফ হাসন বলেন, আমরা বাস চলাচল বন্ধের কোনো নির্দেশনা দিইনি। তবে সাবধানতার সঙ্গে ধীরগতিতে গাড়ি চালানোর নির্দেশনা চালকদের দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী জানান, সদর দফতরের নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস