জেলা প্রতিনিধি
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন নেতৃত্বের প্রতীক, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অগ্রদূত এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ) বিকেল ৩টায় প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ শোকবার্তা পাঠান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এহতেরামুল হক। উপাচার্য মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও অসংখ্য গুণগ্রাহীর প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশ পরিচালনায় দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। গণতন্ত্র, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি আজীবন আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ও নিপীড়নের মধ্যেও তিনি কখনো আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি— যা তাকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।
শোকবার্তায় উপাচার্য আরও বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ দেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিকই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের ভিত্তি।
উপাচার্য বলেন, একজন নারী নেত্রী হিসেবে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত রেখেছেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান এবং শক্তিশালী বিরোধী রাজনীতির ধারা গড়ে তোলায় তার অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সংগ্রামী জীবন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।
বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। তার সাহস, ত্যাগ ও নেতৃত্ব জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ও স্মৃতি জাতির ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
প্রতিনিধি/এসএস